How to Earn Money From YouTube in 2024: YouTube বর্তমানে সব থেকে একটি জনপ্রিয় বড় প্ল্যাটফর্ম ইনকামের জন্য। যদি আপনি YouTube কে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে চান তাহলে বর্তমানে আপনি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে যাচ্ছেন কারণ বর্তমানে ডিজিটাল এবং সব কিছু অনলাইন হয়ে যাওয়ার কারণে ইউটিউব আপনার জন্য ক্যারিয়ার হিসাবে বেস্ট অপশন। উদাহরণবশত যদি আপনি অফলাইন টিচিং করে থাকেন যতটা আপনাকে না জেনে থাকবে ততটা ইউটিউবে বা অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি টিচিং করেন তাহলে আপনার পরিচয় অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। যদি আপনি ভালভাবে টিচিং করান বা একটি আপনার নাম তৈরি করতে পারেন তাহলে ইউটিউব ক্যারিয়ারে আপনি একটি বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। তবে আমি বিশেষ কিছু ক্যাটাগরি সম্বন্ধে আলোচনা করব। কিভাবে আপনি ইউটিউবে চ্যানেল ক্রিয়েট করবেন এবং কোন টপিকে ভিডিও বানাবেন কিভাবে ভিডিও বানাবেন? কিভাবে আপনার চ্যানেলটিকে মনটাইজেশন করবেন? কপিরাইট কি? কিভাবে কপিরাইট থেকে এড়িয়ে যাবেন? বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো।
How to Earn Money From YouTube in বাংলা Tips and Tricks
WhatsApp Group
Join Now
Instagram Profile
Join Now
Telegram Channel
Join Now
ইউটিউবে একাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য আপনাদেরকে একটি জিমেইল আইডি তৈরি করতে হবে গুগলের মাধ্যমে তৈরি করার পর আপনাদেরকে ইউটিউব ব্রাউজারে গিয়ে ডেক্সটপ সাইট মোড করে নিয়ে ইউটিউব সার্চ করতে হবে। তবে একটু ভেরিফিকেশনের কিছু জরুরী তথ্য আছে যেগুলি জানা আপনার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তা না হলে আপনার অ্যাকাউন্টটি সঠিকভাবে ক্রিয়েট করা হবে না। যদি আপনি কম্পিউটার ইউসার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সুবিধাজন এছাড়াও যদি আপনি Android ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বিশেষ কিছু কথা মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। আপনি অ্যান্ড্রয়েড ইউজার হলে বাজারে গিয়ে ডেস্কটপ সাইট মুড করে নিয়ে ইউটিউব সার্চ করুন সার্চ করার পরে ইউটিউব চ্যানেলটিকে ক্রিয়েট করুন। ক্রিয়েট করার পর অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করুন আপনার ফোন নাম্বার এবং কান্ট্রি সিলেক্ট করুন। এবং আপনার কোন ক্যাটাগরি চ্যানেল তা অবশ্যই মেনশন করতে ভুলবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক Instagram টেলিগ্রাম ইত্যাদি লিংক অবশ্যই ব্যবহার করুন।
যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেলকে ক্রিয়েট করে থাকেন তাহলে আপনাকে ক্যাটিগরির উপরে নজর দেওয়া অবশ্যই উচিত কারণ যদি আপনার সেই টপিকের উপর ইন্টারেস্ট না থাকে তাহলে আপনি ভালোভাবে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন না তো আপনার ইন্টারেস্ট ক্যাটাগরির উপরে নজর দিন। যদি আপনি টিচিং করতে ভালবাসেন তাহলে এডুকেশন চ্যানেল ক্রিয়েট করুন, যদি আপনি টেকনিক্যাল রিলেটেড তথ্য প্রদান করতে ভালোবাসেন তাহলে টেকনিক্যাল চ্যানেল তৈরি করুন, এছাড়াও ফানি ভিডিও, স্ট্যাটাস ভিডিও যেমন গুড মর্নিং গুড নাইট বিভিন্ন Quotes, Love রিলেশনশিপ এই চ্যানেলগুলি বর্তমানে চাহিদা সংখ্যা অত্যন্ত বেশি তোর এইসব চ্যানেলে Create করতে পারবেন এবং কিছুদিনের ভিতরে আপনার চ্যানেলটিকে Grow করতে পারেন।
এখন YouTube থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পার করতে হবে এবং এক হাজার সাবস্ক্রাইবার পার করতে হবে। অনেকে মনে করে থাকেন যে 4 হাজার ঘন্টা মনে অনেকটাই বেশি কিন্তু যদি আপনি ভিডিওর প্রতি নজর দেন এবং কোয়ালিটির প্রতি নজর দেন তাহলে চার হাজার ঘন্টা খুব বেশিদিন সময় লাগবে না পার করতে এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার পার করতে। যখনই আপনার YouTube চ্যানেলটি চার হাজার ঘন্টা এবং এক হাজার সাবস্ক্রাইবার পার করবে, তখন আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারবেন যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার ইনকামের জন্য। YouTube পাটনার প্রোগ্রামে জয়েন করার জন্য আপনাদেরকে google এডসেন্স একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। এডসেন্স একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর আপনার চ্যানেলটিকে এডসেন্স একাউন্টে লিংক করতে হবে। পেমেন্ট অপশন ভেরিফাই করে নেওয়ার পরে আপনার চ্যানেলটি এডসেন্স Approval এর জন্যে Pending চলে যাবে । এক সপ্তাহের ভেতরে আপনার এডসেন্স একাউন্টটি aproval হয়ে যাওয়ার পর আপনি আপনার চ্যানেলে এড চালাতে পারবেন।
ফটো এডিটিং Photo এডিটিং বা Video এডিটিং কে অনেকে মনে করে থাকেন এটি একটি কঠিন কাজ কিন্তু যদি আপনি Android ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে বিশেষ কিছু অ্যাপ্লিকেশন নাম উল্লেখ করবো। যেগুলি আপনি ডাউনলোড করে খুবই সহজে ফটো এডিটিং লোগো এডিটিং এবং ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। লোগো বা ফটো এডিটিং এর জন্য পিক্সেল ল্যাব এবং পিক্সার্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। ভিডিও এডিটিং এর জন্য Kimemaster বর্তমানে সবথেকে বেস্ট Android Software এছাড়াও Inshort, YouCut ভিডিও এডিটর ব্যবহার করতে পারেন। তবে Kimemaster যদি আপনি ভিডিও এডিটিং করতে চান Playstore থেকে ডাউনলোড করলে Watermark থাকে যদি Premium Version নিতে চান তাহলে Pay করে ব্যাবহার পারেন। যদি আপনি ফ্রি Premium Version নিতে চান তাহলে যে কোনো Browser এ গিয়ে সার্চ Mod বা Free Premium Version Search করে ডাউনলোড করতে পারেন। ইউটিউব এর জন্য আমি Pixel lab সফটওয়্যারটিকে রিকমেন্ট করব কারণ PixelLab এবং Picksart সফটওয়্যার দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব সহজে ব্যাবহার করতে পারবেন YouTube এ টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন এর ব্যবহার সম্বন্ধে।
YouTube ভিডিও পোস্ট করার পূর্বে আপনাকে YouTube কমিউনিটি গাইডলাইনস পলিসি সম্বন্ধে বিশেষ ধ্যান রাখতে হবে কারণ এটা ভবিষ্যতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে Grow করতে সাহায্য করবে। YouTube Policy বা কপিরাইট পলিসির মতে আপনি কোন প্রকার অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে ডাউনলোড করা বা ফটো, ভিডিও, অডিও এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না তাদের কপিরাইট অনুমতি ছাড়া। যদি আপনি কপিরাইট অনুমতি ছাড়া YouTube এ ভিডিওতে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্যান্ড বা স্ট্রাইক হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেক চ্যানেলে দেখে থাকবেন অ্যাকাউন্ট টার্মিনেট হয়ে যাওয়া। তাই ভিডিও ক্রিয়েট করার সময় নজর দেবেন কোনরকম কপিরাইট ইমেজ বা ডাউনলোড করা উইদাউট কপিরাইট পারমিশন ব্যবহার করবেন না আপনার ভিডিওটিতে। অনেকে মনে করে থাকেন যে অডিওর ক্ষেত্রে কি করা যায় তবে ইউটিউব ফ্রি মিউজিক আপনি ব্যবহার করতে পারেন আপনার ভিডিওটিতে। যদি আপনি ইউটিউব এর ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করতে চান তাহলে প্রথমে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করবেন এবং ফিল্টার অপশনে আপনাকে ক্রিয়েটিভ লাইসেন্স সিলেক্ট করে আপনি ইউটিউব মিউজিক ডাউনলোড করতে পারেন এবং সেগুলি আপনি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারেন তবে অতিমাত্রায় নয়। আর YouTube মিউজিক লাইব্রেরী তো আপনার জন্য সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।