Bangla Sad Kobita – বাংলা কষ্টের কবিতা

WhatsApp Group Join Now
Instagram Profile Join Now
Telegram Channel Join Now

Bangla Sad Kobita List

বাংলা বিখ্যাত কবিদের উল্লেখযোগ্য কবিতা, যেগুলো মানুষের কষ্টের জন্য Sad Kobita কবিতাগুলি লিখেছেন। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হলো । আরো বিস্তারিত কবিতা গুলির জন্য আপনারা নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারবেন ।

Bengali PoemClick Here
Bangla Premer KobitaClick Here
Bangla Romantic KobitaClick Here
Bangla Sad KobitaClick Here
Bangla Love KobitaClick Here
Rabindranath Thakur Kobita List  Click Here

অক্ষমতা 

 —রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এ যেন রে অভিশপ্ত প্রেতের পিপাসা

সলিল রয়েছে প’ড়ে, শুধু দেহ নাই।

এ কেবল হৃদয়ের দুর্বল দুরাশা

সাধের বস্তুর মাঝে করে চাই – চাই।

দুটি চরণেতে বেঁধে ফুলের শৃঙ্খল

কেবল পথের পানে চেয়ে বসে থাকা!

মানবজীবন যেন সকলি নিষ্ফল —

বিশ্ব যেন চিত্রপট, আমি যেন আঁকা!

চিরদিন বুভুক্ষিত প্রাণহুতাশন

আমারে করিছে ছাই প্রতি পলে পলে,

মহত্ত্বের আশা শুধু ভারের মতন

আমারে ডুবায়ে দেয় জড়ত্বের তলে।

কোথা সংসারের কাজে জাগ্রত হৃদয়!

কোথা রে সাহস মোর অস্থিমজ্জাময়!


অবহেলিত

 — আরাফ

অবহেলিত সময়ে অবগাহন করে

শুদ্ধ হয়েছি আজ

জনপদ তবু হয়েছে পিচ্ছিল

ভালবাসার একটি মুকুর আজও যেন অপেক্ষমান

দয়িতের কাছে প্রত্যাক্ষিতা সে তো

আজও তপস্যারতা সপ্তপর্ণী বনে

সুন্দর তবু কেন অচঞ্চল নিষ্ঠুর তবে

রত্নাভারন হয়ছে তুচ্ছ

কেশদাম জটাজুটসম

তবু অপেক্ষা আজও প্রিয়

অনন্ত সময় তবু কি বলে যায় তোমায়

সব কিছুর ঊর্দ্ধে গিয়ে

কিসের প্রতীক্ষা পথিক

যাকে প্রত্যাক্ষান করেছ একদিন

কেন তাকে খোঁজ আজ


হারানো স্মৃতি

 —এসপিএস শুভ

প্রেমের স্নিগ্ধ মন,

তোমাকে নিয়ে আজও ঘিরি।

অনেক বেশি ভালোবেসে নিয়ে ছিলাম-

তোমার পিছুটান,

সব কিছু হারিয়ে আজ আমি অবসান।

হৃদয়ে কাপন জাগে,

কি যে ভালো লাগে!

উতলা হই তোমার প্রেমের অনুরাগে।

তুমি কথা দিয়েছিলে আমাকে পেতে,

এখন কি হলো সেই কথায় তাতে?

দিতে পারবে কি?

আমার হারানো স্মৃতিগুলো ফিরিয়ে!

বেঁচে থেকেও মরে গেছি,আসবে কি ফিরে?

নেশায় নেশায় দিনগুলো যাচ্ছে পেরিয়ে।


লাশ কাটা ঘর

 —বিকেল চড়ুই

তারপর দুটি চোখ নিভে গেলে পরে

কিশোরীর ঠাঁই মেলে লাশকাটা ঘরে ।

কেউ তারে ভালোবেসে একদিন

কাছে এসে

বলেছিল , দেখে নিও চিরকাল

রবো পাশে ।

তারপর একদিন অসহ্য আলিঙ্গন

নয়নে নয়নে মেশে জলের বাঁধন

বাইরে ঝড়ের তান্ডব আর

সেই কারো চোখে ঝড় ওঠে কিছু কামনার ।

অবশেষে কিশোরীর আত্মসমর্পন।


রাতের পাখি 

 —সুমাইয়া মুনিরা

যেই রাতে আকাশে কোন তারা জ্বলেনি

যেই রাতে আকাশে জ্যোছনায় বাধ ভাঙ্গেনি

যেই রাতে হাওয়ারা গুনজনে কথা বলেনি

যেই রাতে মেঘেদের ঝর্ণা ঝরেনি

যেই রাতে তুমি কোন রজনী খুজোনি

যেই রাতে স্বপ্নরা মন ছবি আঁকেনি

আমি সেই রাতের পাখি…………..

তোমা হতে আমার ভিন্ন সময়ে বসবাস

মেঘ ছাই হওয়া প্রহরে বিনিদ্র রজনী

তোমা হতে ভিন্ন সময়ের কথা বলে ।

বিষাক্ত কোন অনুভূতি নয়

কতকগুলো ঝাপসা স্মৃতির ছুটোছুটি

এই আমাকে নিশ্চল করে যায়

স্থবির সেই অনুভূতিতে সময় আটকে পড়ে


যে আমায়

 —সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছি

যে আমায় ভুলে যায়, আমি তার ভুল

গোপন সিন্দুকে খুব যত্নে তুলে রাখি

পুকুরের মরা ঝাঁঝি হাতে নিয়ে বলি,

মনে আছে, জলের সংসার মনে আছে?

যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছি!

যে আমায় বলেছিল, একলা থেকো না

আমি তার একাকিত্ব অরণ্যে খুঁজেছি

যে আমায় বলেছিল, অত্যাগসহন

আমি তার ত্রাগ নিয়ে বানিয়েছি শ্লোক

যে আমার বলেছিল, পশুকে মেরো না

আমার পশুত্ব তাকে দিয়েছে পাহারা!

দিন গেছে, দিন যায় যমজ চিন্তায়

যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছি!


তোমার বুকের ওপাশে

– ফয়সাল হাবিব সানি

তোমার বুকের ওপাশে

তোমার বুকের ওপাশে আমার হৃদয় রেখে দেবো;

বর্ণিল স্বচ্ছ নীল, নয়তো রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত বিবর্ণ এক হৃদয়!

হয়তো চকচকে সাদা কাঁশফুলের মতো তোমার বুকে বড়ো বেমানান সেই হৃদয়; তবুও হৃদয় তো, হৃদয়ই তো!

আচ্ছা বলোতো, কোথায় ফেলবে তুমি সেই হৃদয়?

তুমি তাচ্ছিল্যে আমায় ছুঁড়ে ফেললেও, তোমার বুক কখনো হৃদয় ছুঁড়ে ফেলতে পারবে না সেই কথা আমি জানি।

আমি জানি, বুকের ভেতর হৃদয়ের স্থান, সেখানেই হৃদয় থাকে- তো কোথায় লুকোবে সেই হৃদয় তুমি?

মানুষ নাকি বুকে হাত দিয়ে মিথ্যে বলতে পারে না-

তবে তুমিও কি বুকে হাত দিয়ে কখন বলতে পারবে, তোমার বুকের ওপাশে কোনো হৃদয় ছিলো না, তোমার বুকের ভেতরে কখনোও এক চিলতে হৃদয়ের নীল বিষ সংক্রমিত হয়নি’!

বুক সে কিভাবে মিথ্যে বলবে, প্রতারণা করবে হৃদয়ের সাথে?


ব্যবধান

 —শামসুর রাহমান

একদা আমাকে তুমি দিয়েছিলে ঠাঁই মমতায়।

আমিও তোমাকে

দিনের সোনালী ছটা রাত্রির মায়াবী কত নিমগ্ন প্রহর

করেছি অর্পণ। আজ আমি তোমার সান্নিধ্য থেকে দূরে

পড়ে আছি অসহায়। তুমি ডাকলেও

পারি না নিকটে যেতে। আমাদের মাঝখানে মরু

শত মরীচিকা আর অজস্র নিশীর্ণ হাড় নিয়ে

ব্যাপ্ত রাত্রিদিন, মাঝে মাঝে

তোমার আভাস পাই অগণিত ওষ্ঠে। বেলা যায়,

বেলা যায়, সময় আমাকে দেয় প্রবীণের সাজ।

যদি কাছে যাই কোনোদিন মনের খেয়ালে, তবে সত্যি

বলো,

সুদূরের সেই

যুবাকে পাবে কি খঁজে এই ভাঙাচোরা মুখচ্ছদে? দেখ


কষ্ট বিলাস

 —এ আর সিকদার

আমার কিছু কষ্ট আছে কিনবে নাকি তুমি?

কিছু কষ্ট খুব পুরনো -হীরের চেয়েও দামি।

কিছু কষ্ট খুব স্পস্ট -কিছু কষ্ট ফিকে

একটা কষ্ট ভালবেসে হাত বাড়াবে তোমার দিকে,

যখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!

তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।

কিছু কষ্ট তুমি আমি- কিছু কষ্ট একা

কিছু কষ্ট বুকের মাঝে-চোখে যায় না দেখা,

কিছু কষ্ট পাথর কোমল-কিছু কষ্ট নাজুক

একটা কষ্ট কেঁদে কেটে ভেজাবে দুই চোখ,

যখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!

তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।

আমার কিছু কষ্ট আছে কিনবে নাকি তুমি?

কিছু কষ্ট খুব পুরনো -হীরের চেয়েও দামি।


কেউ কথা রাখেনি

 —সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি

ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল

শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে

তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী

আর এলোনা

পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।

মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর

তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো

সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর

খেলা করে!

নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ


এক সমুদ্র কষ্ট

 —জসিম উদ্দিন জয়

মাঝে মাঝেই এক সমুদ্র কষ্ট আসে,

কষ্ট পাওয়া স্মৃতি গুলো চোখে ভাসে,

বিষাক্ত ছোবল মারে মনের ক্যানভাসে।

তবুও মানুষ কষ্টকে কেন ভালোবাসে ?

অচেনা পৃথিবীর নির্মম বাস্তবতায় এসে

তীব্র খরতাপের সুর্য্য¯স্নানের বেলা শেষে

ভালোমন্দের দন্দ-ছন্দের আবেগে মিশে

সরল মনটি ঠকেছে মানুষকে ভালোবেসে।

পৃথিবীটা সুন্দর সুন্দর তার আকাশ,

মানুষগুলো জটিল সরলতার নেই প্রকাশ,

মিথ্যের আভিজাত্য বিন্দু থেকে বিকাশ,

কষ্টগুলো আসবেই করবে সরলতার সর্বনাশ।


ইচ্ছে ছিল

 —হেলাল হাফিজ

ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো

ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে

শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো।

ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতো

সূর্যালোকে কেবল সাজাবো তিমিরের সারাবেলা

পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো।

ইচ্ছে ছিলো নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে

রাখবো তোমার লাজুক চঞ্চুতে,

জন্মাবধি আমার শীতল চোখ

তাপ নেবে তোমার দু’চোখে।

ইচ্ছে ছিল রাজা হবো

তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,